স্বদেশ ডেস্ক:
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস গাজায় অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন।
রোববার (১২ নভেম্বর) কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ডব্লিউএইচও প্রধান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের এক পোস্টে বলেন, ডব্লিউএইচও স্বাস্থ্যকর্মীদের, লাইফ সাপোর্টে থাকা শিশুসহ শত শত অসুস্থ ও আহত রোগী এবং হাসপাতালের অভ্যন্তরে থাকা বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের নিরাপত্তার বিষয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
তিনি বলেন, ডব্লিউএইচও আবারো গাজায় অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে জীবন বাঁচানোর এবং দুর্ভোগের ভয়াবহ মাত্রা কমানোর একমাত্র উপায় হিসেবে।
তিনি আরো বলেন, একইসাথে ডব্লিউএইচও গুরুতর আহত এবং অসুস্থ রোগীদের টেকসই, সুশৃঙ্খল, নিরবচ্ছিন্ন ও নিরাপদ চিকিৎসা স্থানান্তরের আহ্বান জানায়।
এর আগে গতকাল ডব্লিউএইচও প্রধান বলেন, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় গড়ে প্রতি ১০ মিনিটে একটি করে শিশু নিহত হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, ‘গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পতনের দ্বারপ্রান্তে। ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত গাজার স্বাস্থ্য অবকাঠামোকে লক্ষ্য করে ২৫০টিরও বেশি হামলা হয়েছে। আর ইসরাইলের স্বাস্থ্য অবকাঠামোকে লক্ষ্য করে ২৫টি হামলা চালানো হয়েছে। এই সংঘাতে আমরা আমাদের শতাধিক সহকর্মীকে হারিয়েছি।’
এদিকে গাজায় ইসরাইলি হামলায় এ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। এদের অর্ধেকই শিশু।
উল্লেখ্য, গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেছে বলে ঘোষণা করে। এর প্রতিরোধে পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরাইল।
এক বিবৃতিতে হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দেইফ বলেন, গত শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে ইসরাইলে পাঁচ হাজার রকেট বর্ষণের মাধ্যমে ‘অপারেশন আল-আকসা স্ট্রম’ শুরু হয়েছে। এ সময় ইসরাইল গাজা থেকে অনুপ্রবেশের কথা স্বীকার করে।
বস্তুত, ১৯৫৩ সালের পর এই প্রথম এত বড় মাত্রার যুদ্ধ শুরু হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের আল আকসা অঞ্চলে।
সূত্র : আল-জাজিরা